প্রকাশিত: Sun, Feb 26, 2023 5:24 PM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 2:41 PM

মুক্তিাঙ্গন, সভা-সমাবেশ এবং গণতন্ত্রচর্চা

ফজলুল বারী : এক ছোট ভাই ঢাকার মুক্তাঙ্গন নিয়ে রিপোর্ট করেছেন। মুক্তাঙ্গন দখল করে সেখানে ভাড়া গাড়ি রাখার অবৈধ ব্যবসা জমে উঠেছে। এটিই রিপোর্টের উপজীব্য। কিন্তু ছোট ভাই যে ভুলটা করেছেন তা তার সম্পাদক ধরিয়ে দেননি। যেসব রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে তাঁরাও ধরিয়ে দেননি ভুল ইতিহাস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জিপিও’র পাশের এই মুক্তাঙ্গন নাকি বাংলাদেশের গণতন্ত্রচর্চার পাদপীট। আদতে সামরিক শাসকরা তাদের জমানার শুরুর দিকে বন্দী গণতন্ত্রের সীমিত পর্যায়ে চর্চার সুযোগ দিয়েছিলেন শুধু মুক্তাঙ্গনে। মুক্তাঙ্গন নামটিও তাদের দেওয়া। ঢাকার আর কোথাও তখন সভা মিছিল করার সুযোগ ছিল না। তখন বলা হয়, শুধু মুক্তাঙ্গনেই রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করা যাবে। যা খুশি বলা যাবে। আদতে এটি তখনই জমে ওঠেনি। 

কারণ এত ছোট জায়গায় বড় দলের সভা সমাবেশ করা সম্ভব ছিল না। যা খুশি বলার কথা থাকলেও সেখানে ঘুর ঘুর করতো গোয়েন্দা বা তাদের ফেউগণ। একপর্যায়ে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে রাজনৈতিক দলগুলো আর কখনো মুক্তাঙ্গনে সভা করতে যায়নি। এর প্রবেশমুখে একটি পাবলিক টয়লেট গড়ে উঠলে দুর্গন্ধের কারণেও এর পাশ দিয়ে যাওয়া যেতো না। ক্রমে ক্রমে এটি ভাড়া গাডিওয়ালাদের দখলে চলে যায়। পুলিশ এবং চাঁদাবাজরা সেখান থেকে নিয়মিত বখরা পায়। লেখক: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে